• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে সেনবাগ স্টেডিয়াম, ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত

  • ''
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০২৪

সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:

যতদূর চোখ যায় চারদিকে ঘাস আর ঘাস, যার ওজন করলে হবে কয়েক টন ,তদারকির অভাবে ঘাস ঝোপ-ঝাড় ও আগাছায় পরিপূর্ন হয়ে বিরান ভূমিতে পরিনত হয়ে পড়েছে সেনবাগ উপজেলার শহীদ তরীক উল্লাহ বীর বিক্রম স্টেডিয়ামটি। জঙ্গলের মত হয়ে থাকা ঘাসের ভিতর রয়েছে সাপ, বিচ্ছুরমত বিষাক্ত প্রতঙ্গ । এমন অবস্থা নোয়াখালী সেনবাগের কাবিলপুর ইউনিয়নের ছমির মুন্সির হাট বাজার সংলগ্ন আজিজপুর গ্রামে অবস্থিত ‘বীর বিক্রম” শহীদ তরিক উল্যা স্টেডিয়ামের। সঠিক তদারকি ও দেখ বালের অভাবে এ স্টেডিয়াম চত্বর ইতোমধ্যে মাদক সেবিধের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। বেহাল দশা স্টেডিয়ামের ভিতর ও বাইরের। স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ স্টেডিয়ামটি আজ জরাকীর্ণ প্রায়।

২০০৪ সালে সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশ্ব আজিজপুর গ্রামের স্থাপন করা হয় সেনবাগ উপজেলা স্টেডিয়ামটি। এরপর ১/১১র’ সময় স্টেডিয়ামটির নাম করণ করা হয় ‘বীর বিক্রম শহীদ তরিক উল্যা স্টেডিয়াম নামে। ২০০৬ সালে উদ্বোধনের পর থেকে এ স্টেডিয়ামে দু’টি বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে ২০০৮ সালে চেয়ারম্যান গোল্ড কাপ ও ২০১২ স্বাধীনতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ দু’টি টুর্নামেন্টের মাঝে শীতকালিন ও স্কুল পর্যায়ের কয়েকটি খেলা হয়েছিলো এখানে।

কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে এ স্টেডিয়ামে কোন ধরণের খেলাধুলার আয়োজন না করায় বন্ধ হয়ে যায় সকল ধরনের খেলাধুলা। খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্টেডিয়ামের ভিতরের চার পাশ ঘাসের বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দু’টি দর্শক গ্যালারি, কমেন্টিবক্স ও অফিস কক্ষ। কিছু দিন আগে স্টেডিয়ামের মুল ফটকের গেইটটি নতুন করে নির্মান ও স্টেডিয়ামের বাইরের অংশে রং করিয়ে দেন সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর বিক্রম শহীদ তরীক উল্লাহ সন্তান বিশিষ্ঠ শিল্পপতি লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক সিআইপি। বাহিরের সুর্যন্দ বর্ধিত হলেও ভিতরের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। এখান থেকে খেলোয়াড় তৈরির পরিবর্ততে তৈরি হচ্ছে ঘাস ও মাদক সেবী এবং বখাটেদের আড্ডা খানায়।

সেনবাগ থেকে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় খেলাধুলা করে সাফল্য অর্জন করে সেনবাগের সুনাম বইয়ে এনেছিলো অথচ হাতের কাছে একটি স্টেডিয়াম থাকলেও বর্তমানে শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করার সুযোগ না পাওয়ায় মোবাইল, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে তারা। আগামীতে এ অঞ্চল থেকে ভালো খেলোয়াড় তৈরি করতে স্টেডিয়ামি দ্রুত সংষ্কারের দাবী স্থানীয় ও তরুণ সমাজের।

স্টেডিয়ামের দেখাশুনার জন্য ২০০৭ সালে ১৫শ টাকায় সম্মানিতে দ্বীন মোহাম্মদ নামের একজন কেয়ারটেকার নিযোগ দিলেও তিনি বেতন পান না অনেক বছর স্টেডিয়ামে বহিরাগত ও মাদক সেবিদের আড্ডা জমাতে বাধা দিলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান,কেয়ারটেকার দ্বীন ইসলাম।

স্টেডিয়ামের খারাপ অবস্থার কথা স্বীকার করে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু জানান, ধান ক্ষেতের ওপর স্টেডিয়াম করলেও তাতে খেলাধুলা করার মতো উপযোগী মাঠ না করায় বর্ষাকালে পানি ও পরে ঘাসে উঠে গরুর চরণভূমি হয়। নিজেদের উদ্দেগ্যে একাধিকবার ঘাস কেটে কয়েকটি খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বাজেট বরাদ্ধ না থাকায় মাঠটি খেলা অউপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ফেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়ামটি খেলার উপযোগী করে তোলা সম্ভাব হবে জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads